• We kindly request chatzozo forum members to follow forum rules to avoid getting a temporary suspension. Do not use non-English languages in the International Sex Chat Discussion section. This section is mainly created for everyone who uses English as their communication language.

⁠◕কান্না ভেজা ডাকবাংলোর রাত পর্ব -৩

Sherl0ck

Epic Legend
পর্ব ৩


চোখ খুলতে হল সেই ইন্দ্রদার ডাকে। কিন্তু আমরা কোথায়? আমরা তো টাটা সুমোর মধ্যে বসে আছি। চারিদিকে ফুটন্ত সকালের নীলচে আতরের সুগন্ধ ... রাস্তার দু'পাশে পড়ে থাকা বালিগুলি চিক-চিক করছে ... অনেক দূরে সবুজ ধানক্ষেতের উপর স্বপ্নিল ধোঁয়াশা ... আর দেখা যায় অস্পষ্ট কৃষাণ-কৃষাণী ... আর ডানদিকে কাল রাতের সেই ভয়ানক ডাকবাংলোটা।

"আমরা এখানে কী করে এলাম ইন্দ্রদা?"

"সেটা তো আমার মাথাতেও আসছে না। কাল রাতে হঠাৎ গভীর ঘুমে আচ্ছাদিত হয়ে যাবার পর চোখ খুলতেই দেখি গাড়িতে বসে আছি .. পাশে তুইও! রাক্ষুসে সেই ডাকবাংলোটা আর ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে না। সব থেকে আশ্চর্য হই তখন, যখন গাড়ি থেকে নেমে দেখি আমাদের গাড়ির চাকার কিছুই হয় নি!"

"তবে যাই বলো ইন্দ্রদা, something mysterious in that room."

"না রে সমু, something interesting. খুব খিদে পেয়েছে, কাল রাতে কিছু পেটে পড়ে নি। চল বাড়ি ফেরা যাক।"

বিকেলের দিকে কালকের ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু সাতটা দশে ইন্দ্রদার মোবাইলে একটা ফোন আসতেই কালকের ঘটনাগুলো পুনরায় ঝিলিক দিয়ে উঠল। গড়িয়ার murder case এর easy solve এর পর private detective ইন্দ্রজিৎ সান্যাল, যে ডাকবাংলোর রাতের ঘটনাটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিল, তার এক চমৎকার সুযোগ হাতে এসে গেল। তাতে অবশ্য একটা বিপদ বাড়ল ... ইন্দ্রদার গার্ল ফ্রেন্ড, ঝিলিক-দির সাথে দেখা করাটা মাটি হয়ে গেল। সে বারে তো ঝিলিক-দির জন্মদিনে সবাই যখন কেক কাটছে, ইন্দ্রদা তখন সাউথ সিটি-মলে suicide case এর তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত। এতে অবশ্য ইন্দ্রদা কিছু মনে করে না। ওর কাছে এসব মান-অভিমানের পালার থেকে adventure টা অনেক বড়। আর আমি ছোট বলে এসবে মাথা ঘামাই না। যাই হোক মোবাইলে ইন্দ্রদার কথা, আর বাতাসে গোল্ড ফ্লেকের ধোঁয়া উড়তে দেখছিলাম।

"হ্যালো speaking ... ওহো আপনি! বলুন, বলুন .... কোনও দরকার?....কী কেস বলুন তো? .... interesting ... হ্যাঁ-হ্যাঁ ... কোনও ক্লু মেলেনি? কোনও ক্ষত চিহ্ন? ... সবাই কী ঐ বাড়িটাতেই ঢুকেছিল? ... strange! all right, case টা না হয় hold করলাম, কিন্তু কোনও ...Ok, then no problem."

ফোনটা রাখার পর ইন্দ্রদা সিগারেটটা অ্যাসট্রেতে না ফেলে জানালা দিয়ে টোকা মেরে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলো, "থানা থেকে হেড অফিসারের ফোন ছিল। কাল রাতের ঐ haunting home এর আসল রহস্য জানতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ওটা একটা ভুতুড়ে বাংলো। ওখানে প্রবেশ করা দূরে থাক, ঐ জঙ্গলের রাস্তাতেও কেউ কোনোদিন পা মাড়ায় না। অথচ দিনের বেলায় ওখানে সব কিছু normal! আর রাত হলেই শোনা যায় কান্না, অট্টহাসি, ভুতুড়ে সমস্ত ডাক। কখনও বা জ্বলে উঠে আগুন। অধিক কৌতূহল-বশত যারা ঐ বাংলোয় রাতে ঢুকেছে বা দিনে কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছে, তারা প্রত্যেকে দেখতে পেয়েছে একটা রোমশ হাত আর একটা বীভৎস মুখ। সেই মুহূর্তে কেউ-কেউ হার্ট ফেল করেছে। যাদের সেই সময় কিছু হয়নি, তারা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেকে নিজেদের বাড়িতে অস্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে। তাদের গায়ে না ছিল কোনও ক্ষতচিহ্ন, না ছিল আশে-পাশে কোনও clue. শ্বাস রোধেও মৃত্যু নয়, কিন্তু পোষ্ট মরটেম রিপোর্ট বলছে বিষ প্রয়োগে মৃত। তীব্র বিষাক্ত হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিডের নমুনা সবার জিভে পাওয়া গেছে। কিন্তু dying situation দেখলে তা কখনো মনে হয় না ... there was no proof ... not a single clue."

"তুমি কী তাহলে ওখানে যাবে?"

"Of course সৌম্য, এটা ত বেশ একটা satisfied case হবে বলে মনে হচ্ছে। কাল সকালে রেডি হয়ে নিবি।"

"আমি?"

"হ্যাঁ, তুই। তোর ভুতের ভয়টা এবার কাটানো দরকার। আর তোর H.S. এর ক্লাস শুরু হতে এখনো অনেক বাকি। ওখানেই আমরা থাকবো ঠিক করেছি। থানার বড় বাবু ওনার সহকর্মী সায়ন রায়কে transfer করে ওখানকার থানায় replace করে দিয়েছেন। আমাদের থাকার ব্যবস্থা ঐ সায়ন রায়ই করে দেবেন, ওনার সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে ... মুখোমুখি আলাপ হয়নি বটে, তবে শুনেছি বেশ ভদ্র ইনস্পেক্টর।"

একটু ভোরে উঠতে হবে তাই দশটা দশে শুয়ে পড়লাম। চন্দ্র-পূজার আরতিতে আকাশের কালো মেঘগুলো ধুনোর মত ভেসে যাচ্ছিল। মাঝখানে একটা প্রকাণ্ড মেঘ নিমেষের মধ্যে চারদিকটা ঢেকে ফেলল। ডাকবাংলোটার আলোগুলো তখন জ্বলছে নিভছে। অতল রহস্যময় বাংলোটার সব আলোগুলো হঠাৎ নিভে গেল ... আর একটা তীব্র বাঁচার আর্তনাদ সেই অন্ধ-গুহার মধ্য থেকে কেঁপে-কেঁপে প্রতিধ্বনিত হতে থাকল। আবছা অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে উঠল দুটো নিষ্ঠুর চোখ... বীভৎস একটা মুখ চকিতে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। বাইরে তখন মুষলধারে ঝরঝর করে জল পড়ে চলছে একটানা।



____সংগৃহীত____
1000331022.jpg
পরবর্তী পর্বের জন্য সঙ্গে থাকুন,
আসতে চলছে খুব শীঘ্রই...... ♥️
@Babai_43 @Anshhi @Uronchondi @Bhoot @Maity Adi @RitamRoy @misstti @Ankita @Ladywiththelamp @Anshh3 @JISHU



 
পর্ব ৩


চোখ খুলতে হল সেই ইন্দ্রদার ডাকে। কিন্তু আমরা কোথায়? আমরা তো টাটা সুমোর মধ্যে বসে আছি। চারিদিকে ফুটন্ত সকালের নীলচে আতরের সুগন্ধ ... রাস্তার দু'পাশে পড়ে থাকা বালিগুলি চিক-চিক করছে ... অনেক দূরে সবুজ ধানক্ষেতের উপর স্বপ্নিল ধোঁয়াশা ... আর দেখা যায় অস্পষ্ট কৃষাণ-কৃষাণী ... আর ডানদিকে কাল রাতের সেই ভয়ানক ডাকবাংলোটা।

"আমরা এখানে কী করে এলাম ইন্দ্রদা?"

"সেটা তো আমার মাথাতেও আসছে না। কাল রাতে হঠাৎ গভীর ঘুমে আচ্ছাদিত হয়ে যাবার পর চোখ খুলতেই দেখি গাড়িতে বসে আছি .. পাশে তুইও! রাক্ষুসে সেই ডাকবাংলোটা আর ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে না। সব থেকে আশ্চর্য হই তখন, যখন গাড়ি থেকে নেমে দেখি আমাদের গাড়ির চাকার কিছুই হয় নি!"

"তবে যাই বলো ইন্দ্রদা, something mysterious in that room."

"না রে সমু, something interesting. খুব খিদে পেয়েছে, কাল রাতে কিছু পেটে পড়ে নি। চল বাড়ি ফেরা যাক।"

বিকেলের দিকে কালকের ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু সাতটা দশে ইন্দ্রদার মোবাইলে একটা ফোন আসতেই কালকের ঘটনাগুলো পুনরায় ঝিলিক দিয়ে উঠল। গড়িয়ার murder case এর easy solve এর পর private detective ইন্দ্রজিৎ সান্যাল, যে ডাকবাংলোর রাতের ঘটনাটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিল, তার এক চমৎকার সুযোগ হাতে এসে গেল। তাতে অবশ্য একটা বিপদ বাড়ল ... ইন্দ্রদার গার্ল ফ্রেন্ড, ঝিলিক-দির সাথে দেখা করাটা মাটি হয়ে গেল। সে বারে তো ঝিলিক-দির জন্মদিনে সবাই যখন কেক কাটছে, ইন্দ্রদা তখন সাউথ সিটি-মলে suicide case এর তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত। এতে অবশ্য ইন্দ্রদা কিছু মনে করে না। ওর কাছে এসব মান-অভিমানের পালার থেকে adventure টা অনেক বড়। আর আমি ছোট বলে এসবে মাথা ঘামাই না। যাই হোক মোবাইলে ইন্দ্রদার কথা, আর বাতাসে গোল্ড ফ্লেকের ধোঁয়া উড়তে দেখছিলাম।

"হ্যালো speaking ... ওহো আপনি! বলুন, বলুন .... কোনও দরকার?....কী কেস বলুন তো? .... interesting ... হ্যাঁ-হ্যাঁ ... কোনও ক্লু মেলেনি? কোনও ক্ষত চিহ্ন? ... সবাই কী ঐ বাড়িটাতেই ঢুকেছিল? ... strange! all right, case টা না হয় hold করলাম, কিন্তু কোনও ...Ok, then no problem."

ফোনটা রাখার পর ইন্দ্রদা সিগারেটটা অ্যাসট্রেতে না ফেলে জানালা দিয়ে টোকা মেরে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলো, "থানা থেকে হেড অফিসারের ফোন ছিল। কাল রাতের ঐ haunting home এর আসল রহস্য জানতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ওটা একটা ভুতুড়ে বাংলো। ওখানে প্রবেশ করা দূরে থাক, ঐ জঙ্গলের রাস্তাতেও কেউ কোনোদিন পা মাড়ায় না। অথচ দিনের বেলায় ওখানে সব কিছু normal! আর রাত হলেই শোনা যায় কান্না, অট্টহাসি, ভুতুড়ে সমস্ত ডাক। কখনও বা জ্বলে উঠে আগুন। অধিক কৌতূহল-বশত যারা ঐ বাংলোয় রাতে ঢুকেছে বা দিনে কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছে, তারা প্রত্যেকে দেখতে পেয়েছে একটা রোমশ হাত আর একটা বীভৎস মুখ। সেই মুহূর্তে কেউ-কেউ হার্ট ফেল করেছে। যাদের সেই সময় কিছু হয়নি, তারা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেকে নিজেদের বাড়িতে অস্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে। তাদের গায়ে না ছিল কোনও ক্ষতচিহ্ন, না ছিল আশে-পাশে কোনও clue. শ্বাস রোধেও মৃত্যু নয়, কিন্তু পোষ্ট মরটেম রিপোর্ট বলছে বিষ প্রয়োগে মৃত। তীব্র বিষাক্ত হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিডের নমুনা সবার জিভে পাওয়া গেছে। কিন্তু dying situation দেখলে তা কখনো মনে হয় না ... there was no proof ... not a single clue."

"তুমি কী তাহলে ওখানে যাবে?"

"Of course সৌম্য, এটা ত বেশ একটা satisfied case হবে বলে মনে হচ্ছে। কাল সকালে রেডি হয়ে নিবি।"

"আমি?"

"হ্যাঁ, তুই। তোর ভুতের ভয়টা এবার কাটানো দরকার। আর তোর H.S. এর ক্লাস শুরু হতে এখনো অনেক বাকি। ওখানেই আমরা থাকবো ঠিক করেছি। থানার বড় বাবু ওনার সহকর্মী সায়ন রায়কে transfer করে ওখানকার থানায় replace করে দিয়েছেন। আমাদের থাকার ব্যবস্থা ঐ সায়ন রায়ই করে দেবেন, ওনার সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে ... মুখোমুখি আলাপ হয়নি বটে, তবে শুনেছি বেশ ভদ্র ইনস্পেক্টর।"

একটু ভোরে উঠতে হবে তাই দশটা দশে শুয়ে পড়লাম। চন্দ্র-পূজার আরতিতে আকাশের কালো মেঘগুলো ধুনোর মত ভেসে যাচ্ছিল। মাঝখানে একটা প্রকাণ্ড মেঘ নিমেষের মধ্যে চারদিকটা ঢেকে ফেলল। ডাকবাংলোটার আলোগুলো তখন জ্বলছে নিভছে। অতল রহস্যময় বাংলোটার সব আলোগুলো হঠাৎ নিভে গেল ... আর একটা তীব্র বাঁচার আর্তনাদ সেই অন্ধ-গুহার মধ্য থেকে কেঁপে-কেঁপে প্রতিধ্বনিত হতে থাকল। আবছা অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে উঠল দুটো নিষ্ঠুর চোখ... বীভৎস একটা মুখ চকিতে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। বাইরে তখন মুষলধারে ঝরঝর করে জল পড়ে চলছে একটানা।



____সংগৃহীত____
View attachment 344378
পরবর্তী পর্বের জন্য সঙ্গে থাকুন,
আসতে চলছে খুব শীঘ্রই...... ♥️
@Babai_43 @Anshhi @Uronchondi @Bhoot @Maity Adi @RitamRoy @misstti @Ankita @Ladywiththelamp @Anshh3 @JISHU



গল্পের এই পর্বটিও দারুণ রহস্য আর সাসপেন্সে ভরা! প্রথম অংশের ভোরবেলার শান্ত পরিবেশ থেকে শুরু করে শেষের ভয়ানক বাঁচার আর্তনাদ পর্যন্ত যেন টানটান উত্তেজনায় বেঁধে রাখে। ইন্দ্রদা আর সমুর চরিত্রায়ন, রহস্যের গভীরে প্রবেশ এবং লোমহর্ষক বর্ণনা - সবকিছুই খুব ভালো লেগেছে।
Awesome Intelligence
 
ইন্দ্রদার ডেডিকেশন আর সৌম্যর ভয়ের মিশ্রণটা দারুণ উপভোগ্য। পরের পর্বের জন্য অধীর অপেক্ষা!
Awesome Intelligence
 
গল্পের এই পর্বটিও দারুণ রহস্য আর সাসপেন্সে ভরা! প্রথম অংশের ভোরবেলার শান্ত পরিবেশ থেকে শুরু করে শেষের ভয়ানক বাঁচার আর্তনাদ পর্যন্ত যেন টানটান উত্তেজনায় বেঁধে রাখে। ইন্দ্রদা আর সমুর চরিত্রায়ন, রহস্যের গভীরে প্রবেশ এবং লোমহর্ষক বর্ণনা - সবকিছুই খুব ভালো লেগেছে।
Awesome Intelligence
ধন্যবাদ ♥️
ইন্দ্রদার ডেডিকেশন আর সৌম্যর ভয়ের মিশ্রণটা দারুণ উপভোগ্য। পরের পর্বের জন্য অধীর অপেক্ষা!
Awesome Intelligence
পরবর্তী পর্ব এসে গেছে কিন্তু
:hi:
 
পর্ব ৩


চোখ খুলতে হল সেই ইন্দ্রদার ডাকে। কিন্তু আমরা কোথায়? আমরা তো টাটা সুমোর মধ্যে বসে আছি। চারিদিকে ফুটন্ত সকালের নীলচে আতরের সুগন্ধ ... রাস্তার দু'পাশে পড়ে থাকা বালিগুলি চিক-চিক করছে ... অনেক দূরে সবুজ ধানক্ষেতের উপর স্বপ্নিল ধোঁয়াশা ... আর দেখা যায় অস্পষ্ট কৃষাণ-কৃষাণী ... আর ডানদিকে কাল রাতের সেই ভয়ানক ডাকবাংলোটা।

"আমরা এখানে কী করে এলাম ইন্দ্রদা?"

"সেটা তো আমার মাথাতেও আসছে না। কাল রাতে হঠাৎ গভীর ঘুমে আচ্ছাদিত হয়ে যাবার পর চোখ খুলতেই দেখি গাড়িতে বসে আছি .. পাশে তুইও! রাক্ষুসে সেই ডাকবাংলোটা আর ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে না। সব থেকে আশ্চর্য হই তখন, যখন গাড়ি থেকে নেমে দেখি আমাদের গাড়ির চাকার কিছুই হয় নি!"

"তবে যাই বলো ইন্দ্রদা, something mysterious in that room."

"না রে সমু, something interesting. খুব খিদে পেয়েছে, কাল রাতে কিছু পেটে পড়ে নি। চল বাড়ি ফেরা যাক।"

বিকেলের দিকে কালকের ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু সাতটা দশে ইন্দ্রদার মোবাইলে একটা ফোন আসতেই কালকের ঘটনাগুলো পুনরায় ঝিলিক দিয়ে উঠল। গড়িয়ার murder case এর easy solve এর পর private detective ইন্দ্রজিৎ সান্যাল, যে ডাকবাংলোর রাতের ঘটনাটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিল, তার এক চমৎকার সুযোগ হাতে এসে গেল। তাতে অবশ্য একটা বিপদ বাড়ল ... ইন্দ্রদার গার্ল ফ্রেন্ড, ঝিলিক-দির সাথে দেখা করাটা মাটি হয়ে গেল। সে বারে তো ঝিলিক-দির জন্মদিনে সবাই যখন কেক কাটছে, ইন্দ্রদা তখন সাউথ সিটি-মলে suicide case এর তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত। এতে অবশ্য ইন্দ্রদা কিছু মনে করে না। ওর কাছে এসব মান-অভিমানের পালার থেকে adventure টা অনেক বড়। আর আমি ছোট বলে এসবে মাথা ঘামাই না। যাই হোক মোবাইলে ইন্দ্রদার কথা, আর বাতাসে গোল্ড ফ্লেকের ধোঁয়া উড়তে দেখছিলাম।

"হ্যালো speaking ... ওহো আপনি! বলুন, বলুন .... কোনও দরকার?....কী কেস বলুন তো? .... interesting ... হ্যাঁ-হ্যাঁ ... কোনও ক্লু মেলেনি? কোনও ক্ষত চিহ্ন? ... সবাই কী ঐ বাড়িটাতেই ঢুকেছিল? ... strange! all right, case টা না হয় hold করলাম, কিন্তু কোনও ...Ok, then no problem."

ফোনটা রাখার পর ইন্দ্রদা সিগারেটটা অ্যাসট্রেতে না ফেলে জানালা দিয়ে টোকা মেরে ফেলে দিয়ে বলতে লাগলো, "থানা থেকে হেড অফিসারের ফোন ছিল। কাল রাতের ঐ haunting home এর আসল রহস্য জানতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ওটা একটা ভুতুড়ে বাংলো। ওখানে প্রবেশ করা দূরে থাক, ঐ জঙ্গলের রাস্তাতেও কেউ কোনোদিন পা মাড়ায় না। অথচ দিনের বেলায় ওখানে সব কিছু normal! আর রাত হলেই শোনা যায় কান্না, অট্টহাসি, ভুতুড়ে সমস্ত ডাক। কখনও বা জ্বলে উঠে আগুন। অধিক কৌতূহল-বশত যারা ঐ বাংলোয় রাতে ঢুকেছে বা দিনে কিছু খোঁজার চেষ্টা করেছে, তারা প্রত্যেকে দেখতে পেয়েছে একটা রোমশ হাত আর একটা বীভৎস মুখ। সেই মুহূর্তে কেউ-কেউ হার্ট ফেল করেছে। যাদের সেই সময় কিছু হয়নি, তারা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যেকে নিজেদের বাড়িতে অস্বাভাবিক ভাবে মারা গেছে। তাদের গায়ে না ছিল কোনও ক্ষতচিহ্ন, না ছিল আশে-পাশে কোনও clue. শ্বাস রোধেও মৃত্যু নয়, কিন্তু পোষ্ট মরটেম রিপোর্ট বলছে বিষ প্রয়োগে মৃত। তীব্র বিষাক্ত হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিডের নমুনা সবার জিভে পাওয়া গেছে। কিন্তু dying situation দেখলে তা কখনো মনে হয় না ... there was no proof ... not a single clue."

"তুমি কী তাহলে ওখানে যাবে?"

"Of course সৌম্য, এটা ত বেশ একটা satisfied case হবে বলে মনে হচ্ছে। কাল সকালে রেডি হয়ে নিবি।"

"আমি?"

"হ্যাঁ, তুই। তোর ভুতের ভয়টা এবার কাটানো দরকার। আর তোর H.S. এর ক্লাস শুরু হতে এখনো অনেক বাকি। ওখানেই আমরা থাকবো ঠিক করেছি। থানার বড় বাবু ওনার সহকর্মী সায়ন রায়কে transfer করে ওখানকার থানায় replace করে দিয়েছেন। আমাদের থাকার ব্যবস্থা ঐ সায়ন রায়ই করে দেবেন, ওনার সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে ... মুখোমুখি আলাপ হয়নি বটে, তবে শুনেছি বেশ ভদ্র ইনস্পেক্টর।"

একটু ভোরে উঠতে হবে তাই দশটা দশে শুয়ে পড়লাম। চন্দ্র-পূজার আরতিতে আকাশের কালো মেঘগুলো ধুনোর মত ভেসে যাচ্ছিল। মাঝখানে একটা প্রকাণ্ড মেঘ নিমেষের মধ্যে চারদিকটা ঢেকে ফেলল। ডাকবাংলোটার আলোগুলো তখন জ্বলছে নিভছে। অতল রহস্যময় বাংলোটার সব আলোগুলো হঠাৎ নিভে গেল ... আর একটা তীব্র বাঁচার আর্তনাদ সেই অন্ধ-গুহার মধ্য থেকে কেঁপে-কেঁপে প্রতিধ্বনিত হতে থাকল। আবছা অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে উঠল দুটো নিষ্ঠুর চোখ... বীভৎস একটা মুখ চকিতে অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। বাইরে তখন মুষলধারে ঝরঝর করে জল পড়ে চলছে একটানা।



____সংগৃহীত____
View attachment 344378
পরবর্তী পর্বের জন্য সঙ্গে থাকুন,
আসতে চলছে খুব শীঘ্রই...... ♥️
@Babai_43 @Anshhi @Uronchondi @Bhoot @Maity Adi @RitamRoy @misstti @Ankita @Ladywiththelamp @Anshh3 @JISHU



Darun ♥️
 
Top