ব্রেকআপের পর রাতটা এমন, যেন বিধাতা নিজে হাতে আপনাকে একটা ৮ ঘণ্টার বিনামূল্যের টর্চার প্যাকেজ ধরিয়ে দিয়েছেন! ঘুম আসে না, মন ভালো নেই, আর মাথার মধ্যে বাজতে থাকে বিরহের ড্রামসেট।
রাত ঠিক ১২টা বাজলেই মস্তিষ্ক স্টার্ট নেবে—"ও এখন কী করছে?" তারপর ইনস্টাগ্রাম খুলে দেখবেন, ওই লোক দিব্যি পার্টিতে নাচানাচি করছে! হাসি-খুশি ছবি, নতুন জামা, হাতে ককটেল গ্লাস—দেখে মনে হবে, "আমার দুঃখটাই শুধু রিয়েল, বাকি দুনিয়াটা ফেক!" এরপর ওর পোস্টের কমেন্ট সেকশনে ঢুকে দেখবেন—"Looking hot
" "ও কি লাকছে" —এই দেখেই মাথায় বিদ্যুৎ খেলে যাবে। এইবার শুরু হবে ইনভেস্টিগেশন! কে কমেন্ট করলো? কবে থেকে জানে? এক্স-এর সাথে সম্পর্ক কি? ব্যাস, এখন আপনি হয়ে গেলেন ফুল টাইম গোয়েন্দা!
তারপর শুরু হবে পুরনো চ্যাট স্ক্রলিং। পড়তে পড়তে মনে হবে, "আমরা প্রেম করতাম, না কি আমি বিনামূল্যে লাইফ টাইম কেয়ারটেকার ছিলাম?"—"ভাত খেলি?" "ওষুধ খেয়েছ?" "শীত পড়ছে, সোয়েটার পরিস!"—নিজের লেখা পড়েই লজ্জা করবে! তখন মনে হবে, "নাহ! সব ডিলিট করে দিই!" কিন্তু ডিলিট অপশনে যাওয়ার আগেই মাথার মধ্যে গুরুজনদের কণ্ঠ—"না না! এগুলো ইতিহাস, মুছে ফেলবি না!"
এইবার ইউটিউব খোলা হবে, এবং ব্রেকআপ প্লেলিস্ট চালু হবে। "ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে" বাজবে রূপম ইসলাম , অনুপম রায় আর অরিজিৎ দা আর আপনার চোখ থেকে জল পড়তে পড়তে মনে হবে, "বড় ভুল করে ফেললাম!" ঠিক তখনই পেটের মধ্যে একটা গর্জন হবে—হ্যাঁ, রাত ৩টে, আর আপনি ক্ষুধার্ত! ফ্রিজ খুলে দেখবেন—একটা শুকনো রুটি, বিরিয়ানির হাড়, আর আধখানা কোল্ডড্রিংক। ব্যাস, এই নিয়েই জীবনধারণ শুরু হবে!
এদিকে, খাওয়া শেষ হতেই মনের মধ্যে নতুন এনার্জি আসবে—"আমি নিজেকে বদলে ফেলব!" ইউটিউবে "How to get six-pack abs in 7 days" লিখে সার্চ দেবেন। দুই মিনিট ভিডিও দেখার পর মনে হবে, "কাল থেকেই শুরু করব!" এবং তারপর এক প্যাকেট লেজকাটে চানাচুর মুখে চালান হয়ে যাবে!
সবশেষে, ফেসবুক খুলে একটা দার্শনিক পোস্ট দিতে ইচ্ছা করবে—"জীবন কারোর জন্য থেমে থাকে না, আমিও থাকব না!"—এটা দিয়ে ভাবছেন আজকের রাত শেষ? নাহ! প্রথম কমেন্টটা পড়েই আবার মেজাজ খারাপ হবে—"এক্স-টা এক লাইক দিয়ে গেছে!"
সকালে ঘুম আসবে ঠিক তখনই, যখন অ্যালার্ম বেজে উঠবে—"গুড মর্নিং! উঠো অফিস(বেগার খাটা) যেতে হবে!"
ব্রেকআপের পর রাত জাগা মানে বিনা খরচে মানসিক অত্যাচার + অতিরিক্ত কষ্টের প্যাকেজ! তাই যদি কখনো প্রেম করতে চান, আগে রাতজাগার প্র্যাকটিস করে নিন!
রাত ঠিক ১২টা বাজলেই মস্তিষ্ক স্টার্ট নেবে—"ও এখন কী করছে?" তারপর ইনস্টাগ্রাম খুলে দেখবেন, ওই লোক দিব্যি পার্টিতে নাচানাচি করছে! হাসি-খুশি ছবি, নতুন জামা, হাতে ককটেল গ্লাস—দেখে মনে হবে, "আমার দুঃখটাই শুধু রিয়েল, বাকি দুনিয়াটা ফেক!" এরপর ওর পোস্টের কমেন্ট সেকশনে ঢুকে দেখবেন—"Looking hot

তারপর শুরু হবে পুরনো চ্যাট স্ক্রলিং। পড়তে পড়তে মনে হবে, "আমরা প্রেম করতাম, না কি আমি বিনামূল্যে লাইফ টাইম কেয়ারটেকার ছিলাম?"—"ভাত খেলি?" "ওষুধ খেয়েছ?" "শীত পড়ছে, সোয়েটার পরিস!"—নিজের লেখা পড়েই লজ্জা করবে! তখন মনে হবে, "নাহ! সব ডিলিট করে দিই!" কিন্তু ডিলিট অপশনে যাওয়ার আগেই মাথার মধ্যে গুরুজনদের কণ্ঠ—"না না! এগুলো ইতিহাস, মুছে ফেলবি না!"
এইবার ইউটিউব খোলা হবে, এবং ব্রেকআপ প্লেলিস্ট চালু হবে। "ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে" বাজবে রূপম ইসলাম , অনুপম রায় আর অরিজিৎ দা আর আপনার চোখ থেকে জল পড়তে পড়তে মনে হবে, "বড় ভুল করে ফেললাম!" ঠিক তখনই পেটের মধ্যে একটা গর্জন হবে—হ্যাঁ, রাত ৩টে, আর আপনি ক্ষুধার্ত! ফ্রিজ খুলে দেখবেন—একটা শুকনো রুটি, বিরিয়ানির হাড়, আর আধখানা কোল্ডড্রিংক। ব্যাস, এই নিয়েই জীবনধারণ শুরু হবে!
এদিকে, খাওয়া শেষ হতেই মনের মধ্যে নতুন এনার্জি আসবে—"আমি নিজেকে বদলে ফেলব!" ইউটিউবে "How to get six-pack abs in 7 days" লিখে সার্চ দেবেন। দুই মিনিট ভিডিও দেখার পর মনে হবে, "কাল থেকেই শুরু করব!" এবং তারপর এক প্যাকেট লেজকাটে চানাচুর মুখে চালান হয়ে যাবে!
সবশেষে, ফেসবুক খুলে একটা দার্শনিক পোস্ট দিতে ইচ্ছা করবে—"জীবন কারোর জন্য থেমে থাকে না, আমিও থাকব না!"—এটা দিয়ে ভাবছেন আজকের রাত শেষ? নাহ! প্রথম কমেন্টটা পড়েই আবার মেজাজ খারাপ হবে—"এক্স-টা এক লাইক দিয়ে গেছে!"
সকালে ঘুম আসবে ঠিক তখনই, যখন অ্যালার্ম বেজে উঠবে—"গুড মর্নিং! উঠো অফিস(বেগার খাটা) যেতে হবে!"
ব্রেকআপের পর রাত জাগা মানে বিনা খরচে মানসিক অত্যাচার + অতিরিক্ত কষ্টের প্যাকেজ! তাই যদি কখনো প্রেম করতে চান, আগে রাতজাগার প্র্যাকটিস করে নিন!