প্রতিদিন প্রভাতে আলো চোখে পড়িতেই ভাবি, ‘হে দিন, আজ হইবে নিশ্চয়ই কর্মযোগের এক দীপ্ত অধ্যায়।’ কিন্তু বাস্তবতা যেন সর্বদা এক ব্যতিক্রমী কাব্য রচনা করিয়া রাখে। গৃহে নিতান্ত কিঞ্চিৎ নিদ্রাভঙ্গেই আরম্ভ হয় কলহের সুর এক দিকে ফোন গর্জিতেছে, অপর দিকে বালকেরা যেন রণক্ষেত্রে প্রস্থান করিবার পূর্বে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করিতেছে। বাহিরে বাহির হইতেই বর্ণিল যানজটের এক অপূর্ব দৃশ্য, যেখানে প্রত্যেকে অগ্রগামী, কিন্তু গন্তব্য কাহারও স্পষ্ট নহে। কর্মস্থলে উপনীত হইলে সহকর্মীগণের মুখাবয়বে এমন এক গাম্ভীর্য, যেন সকলে রাষ্ট্রপরিচালনার গুরুদায়িত্ব লইয়াছেন। ইন্টারনেটের গতি এমন, যাহা গতির সংজ্ঞাকেই পুনর্বিবেচনার দাবি তোলে। দিনের শেষে গৃহে ফিরিয়া ভাবি এ জীবন যদি কাব্য হইত, তবে কেবল ট্র্যাজেডিতেই পরিণত হইত!